December 25, 2024, 2:43 pm
ইসমাঈল হোসাইনঃ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিবন্ধীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীরা প্রশিক্ষণ মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
মঙ্গলবার( ২৩ জানুয়ারী) দুপুরে গাজীপুর টঙ্গীতে অবস্থিত শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প পরিদর্শন কার্যক্রম ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। তাই আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি। কোথায় কি আছে, কি লাগবে তা পর্যবেক্ষণ করছি। টঙ্গীতে দেখলাম প্রতিবন্ধীরা ভালো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এই সব পণ্য সকল সরকারী দপ্তরে সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে এই শিল্প একটি অধিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হতে পারে। যেটা সমাজ কল্যাণ সেটা আমাদের কাজ,
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা যে ভাতা পান তা তাদের চলার জন্য নয়। মূলত প্রতিবন্ধীরা সরকারী ভাতার পাশাপাশি তাদের পরিবার ও পরিজনের সহযোগিতায় চলবে। মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের ভাতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার পুন:ব্যক্ত করেন। এর আগে মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগ ঘুরে দেখেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, বর্তমানে তিনটি বিভাগে মৈত্রী শিল্পের কার্যক্রম চলছে বাকি পাঁচটি বিভাগে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। মৈত্রী শিল্পের মুক্তা পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আরো একটি প্ল্যান স্থাপন করা হবে। প্রতিবন্ধীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
মন্ত্রীর সাথে ছিলেন শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প টঙ্গীর নির্বাহী পরিচালক মো: সেলিম খান (যুগ্ম সচিব), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মেহেদী হাসান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম,কারখানা ব্যবস্থাপক মহসিন আলী সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৩ সালে টঙ্গীতে শারিরীক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট মৈত্রী শিল্প নামে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্য ১২০ টি ও বিভিন্ন সাইজের মুক্তা পানি এখানে উৎপাদিত হয়। প্রায় ২৫০ জন লোকবলের মধ্যে ৯৭% প্রতিবন্ধী কাজ করে।